রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এপ্রিল মাসের হালনাগাদ রপ্তানি আয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে সদ্য শেষ হওয়া মাসে রপ্তানি আয় কমে দাঁড়িয়েছে ৩০১ কোটি ডলারে। আগের বছরে একই সময়ে এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় ছিল ২৯৯ কোটি ডলার। সে হিসেবে এ বছর এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি দশমিক ৮৬ শতাংশ।

টানা ১০ মাসে রপ্তানি আয় ছাড়িয়েছে ৪০ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ৩৬ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
ইপিবির পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিলে পোশাক খাত দেখেছে ‘সামান্য’ প্রবৃদ্ধি। এ খাতে গত মাসে রপ্তানি আয় হয় ২৩৯ কোটি ডলার; মার্চে যা ছিল ২৩৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৪২ শতাংশ।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এপ্রিলে তৈরি পোশাক, চামড়াবিহীন জুতা, হিমায়িত খাদ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বাড়লেও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্লাস্টিক পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি কমেছে। তবে পোশাক রপ্তানিতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার ফলে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি কাছাকাছি রয়েছে। এ মাসে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি ঋণাত্মক ধারায় গেছে।
### ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এপ্রিল মাসে
এপ্রিলের ৩০ দিনে দেশে ২৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। এই হিসেবে প্রতিদিন দেশে ৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
রোববার (৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে দেশে ২০৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
সবমিলিয়ে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর একক মাস হিসেবে সদ্য বিদায়ী এপ্রিলে এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চে এ পর্যন্ত কোনো একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। পাশাপাশি সদ্য বিদায়ী এপ্রিলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।
অন্যদিকে গত বছরের ডিসেম্বরে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৬৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।